পাসপোর্ট করতে গিয়ে নাগরিকদের উপর থেকে অহেতুক চাপ হ্রাস করার উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী।

দক্ষ এবং সময়োপযোগী কর্মসূচী প্রণয়ন এবং জনবল নিয়োগের মাধ্যমে পাসপোর্ট পরিষেবা আরও জনমূখী এবং জনবান্ধব করার আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ২৪ জুন, বৃহস্পতিবার, পাসপোর্ট সেবা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে জয়শঙ্কর বলেন, “আমাদের সরকারের ম্যান্ডেট হলো দক্ষ, সময়োপযোগী জনবল নিয়োগ এবং কর্মসূচী প্রণয়ন, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার ভিত্তিতে জনসেবা নিশ্চিত করা। আমরা সার্বিকভাবে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এমতাবস্থায় পাসপোর্ট পরিষেবা ক্ষেত্রেও এমন কিছু করা উচিত, যা শুধু নাগরিক কেন্দ্রিক নয়, নাগরিক বান্ধব হিসেবে পরিলক্ষিত হবে।”



পাসপোর্ট পরিষেবা সহজতর করতে ইতোমধ্যে গৃহীত পদক্ষেপ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, “পাসপোর্ট সেবা সহজ এবং জনমূখী করণে আমাদের প্রথম ভূমিকা ছিলো পাসপোর্ট বিধি এবং প্রক্রিয়াগুলো সহরীকরণ করা।”



এসময়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে নাগরিকদের উপর থেকে অহেতুক চাপ হ্রাস করার উপর গুরুত্বারোপ করেন মন্ত্রী। তাছাড়া, পাসপোর্ট কার্যক্রম ডিজিটাল এবং প্রযুক্তি নির্ভর করার ব্যাপারেও ভূমিকা নেয়ার কথা জানান তিনি।



সারা দেশে পাসপোর্ট পরিষেবা সহজতর করার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ডাক বিভাগের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় সারা দেশব্যাপী ‘পোস্ট অফিস পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র’ স্থাপনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। এই প্রয়াস সফল হলে দেশের পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের সংখ্যা যেমন বাড়বে, তেমন কমবে ভোগান্তি।”



মন্ত্রী বলেন, “আমরা ইতোপূর্বে অল উইমেন পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চালু করেছিলাম। দিল্লী এবং কোচিনে তা চালু করা হয়েছিলো আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে। এটিও একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিলো।”



করোনা মহামারী চলাকালে অব্যহতভাবে নাগরিক সেবায় কাজ করে চলা পাসপোর্ট সেবা এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি, পাসপোর্ট পরিষেবা ক্ষেত্রে নাগরিক সুবিধার্থে ডিজি লকারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও জানান তিনি। ২০১৯ সাল থেকে টানা তিন বছর যাবত প্রতি বছরই এক কোটির উপর পাসপোর্ট তৈরী করা হচ্ছে বলে এসময় জানান মন্ত্রী জয়শঙ্কর।