যারা বেলজিয়াম কিংবা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের জন্য ঘোষণাটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রস্তুতকৃত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে স্বীকৃতি দিলো বেলজিয়াম। ইইউ এর ১৫ তম দেশ হিসেবে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিলো দেশটি।



ভারতে অবস্থানরত বেলজিয়াম দূতাবাস জানিয়েছে, “ইইউ এর ১৫ তম দেশ হিসেবে কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে বেলজিয়াম। এটি ভ্যাকসিনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।”

এ প্রসঙ্গে, বেলজিয়াম দূতাবাসের চার্জ ডি এফেয়ার্স আরনাড লায়ন বলেন, “আশা করছি, কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি প্রদান ভারত এবং অন্যান্য দেশের জন্য ইতিবাচক প্রভাব বয়ে আনবে।”

ধারণা করা হচ্ছে, বেলজিয়াম এবং অন্যান্য ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহে অধ্যয়নরত কিংবা পড়তে যাবার পরিকল্পনা করা শিক্ষার্থীদের জন্য ঘোষণাটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারতীয় ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত আটটি দেশ সহ প্রায় দশটি দেশ। ইতোমধ্যে, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, স্লোভেনিয়া, গ্রীস, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, এস্তোনিয়া এবং স্পেনের মতো রাষ্ট্রগুলো সেরাম ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিনটিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রায় ১৫ টি ইউরোপীয় রাষ্ট্র ভারতীয় ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়েছে। ফলস্বরূপ এই টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিগণের সংশ্লিষ্ট দেশসমূহে ভ্রমণে কার্যত কোনো বাঁধা রইলো না।

এর আগে, ভারতে প্রস্তুতকৃত ভ্যাকসিন গুলো স্বীকৃতি না দেয়ায়, এগুলো গ্রহণকারী ব্যক্তিদের ইউরোপে প্রবেশে বাঁধা প্রদান করছিলো সেসব দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ অচলাবস্থা কাঁটাতে দীর্ঘদিন যাবত সমাধানের দাবি জানিয়ে আসছিলো ভারত। কিন্তু কার্যত কোনো ফল না পাওয়ায় সবশেষ রীতিমতো হুঙ্কার ছুড়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

তখন ভারতের পক্ষে বলা হয়, কো-ভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডকে যদি ইউরোপীয় ইউনিয়ন স্বীকৃতি না দেয়, তা হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো দেশের নাগরিক ভারতে এলে তাঁদের বিধিবদ্ধভাবে কঠিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে বাধ্য করা হবে। এরপরই পালটে যায় দৃশ্যপট।

উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য ভ্যাকসিনগুলির মধ্যে রয়েছে ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-ইইউ, জনসন এবং জনসন, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসকে বিও (ভ্যাক্সেভ্রিয়াভি সিনোচারভিয়া) ।