চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ সহ অন্যান্য দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রীতিমতো ধুয়ে দেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় ‘পাকিস্তানের নেতিবাচক’ অবস্থানের সমালোচনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। দেশটিতে চলমান সংঘাতে তালেবানকে সহযোগিতা করার অভিযোগ তুললেন ইমরান খানের দেশের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অনুষ্ঠিত ‘সেন্ট্রাল এবং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক যোগাযোগ: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ’ শীর্ষক দুই দিন ব্যাপী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আফগান প্রেসিডেন্ট দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় পাকিস্তানের অবস্থান নেতিবাচক হিসেবে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ধারণা অনুযায়ী, তালেবানের হয়ে যুদ্ধ করার জন্য গত মাসেই পাকিস্তান এবং অন্যান্য জায়গা থেকে আফগানিস্তানে ১০ হাজারের বেশি মানুষ এসেছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ সহ অন্যান্য দেশের নেতাদের উপস্থিতিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে রীতিমতো ধুয়ে দেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।

আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা যেমন করেছেন তেমনই আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে দেশটির সাহায্যও চান ঘানি।

তিনি পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানান, দেশটি যেন তার প্রভাবকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শত্রুতা দূর করতে সাহায্য করে।

তিনি বলেন, আমরা তালেবান এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত আছি। রাজনৈতিক সমাধানই এগিয়ে যাওয়ার মূলমন্ত্র- তারা এটা না বোঝার আগ পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। এরপর আফগান প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিলেন তিনি শান্তি চান।

যুদ্ধ বন্ধে তালেবানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ঘানি বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধে আফগান সরকারের সঙ্গে কাজ করার পাশাপাশি ধ্বংসাত্মক সাম্প্রতিক হামলা বন্ধে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানাই।

আফগান প্রেসিডেন্টের আহ্বানে কতটুকু সাড়া দেবে তালেবান, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ইতোমধ্যে তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশটির প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকা এখন তাদের দখলে রয়েছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়ছে সংগঠনটি।