ভারত এবং জাপান প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহে যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শ্রিংলা

ভারত-জাপান ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। ২০ জুলাই, মঙ্গলবার, নিজ ভাষণে শ্রিংলা বলেন, “ভারত এবং জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং এর বাইরেও অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে।”



তিনি আরও বলেন, “আমরা আভ্যন্তরীণ সম্পর্কের বাইরেও তৃতীয় পক্ষ, অর্থাৎ অন্যান্য দেশেও আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং অংশীদারিত্ব গভীর করার ক্ষেত্রে মনযোগ দিয়েছি।”



পাশাপাশি, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে ২০১৯ সালে প্রবর্তিত ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ওশান ইনিশিয়েটিভ’ -এ নেতৃস্থানীয় অংশীদার হিসেবে অংশগ্রহণ করায় জাপানকে ব্যাপকভাবে স্বাগত জানান তিনি। একই সঙ্গে জাপানের এই অংশগ্রহণ প্রধানমন্ত্রী মোদীর উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ গতিবেগ দিবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন শ্রিংলা। তাছাড়া, ভারতের পূর্ব এশিয়া নীতিতে জাপান গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার এবং মিত্র বলেও সম্বোধন করেন তিনি।



নিজ বক্তব্যে ভারতে পরিচালিত জাপানের যৌথ উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও প্রকল্পের বিষয়েও ভূয়সী প্রশংসা করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মিলে ভারত এবং জাপানের মধ্যকার বাণিজ্যিক সাপ্লাই চেইন পুনরায় আরম্ভের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।



এসবের পাশাপাশি উদ্ভাবন, কৃষি, ডিজিটাল প্রযুক্তি, স্টার্টআপ, পরিবেশ বান্ধব শক্তি সহ অর্থনৈতিক নানান ক্ষেত্রে জাপানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও গভীরের সুযোগ রয়েছে বলে অভিমত দেন শ্রিংলা।



ভাষণের এক পর্যায়ে, ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিকভাবে জাপান ও ভারতের জনগণের মধ্যকার দারুণ সম্পর্ককে দু দেশের চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব। শিক্ষা ক্ষেত্রে, দক্ষতা উন্নয়ন ক্ষেত্রে এবং অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে দু দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের দিকেও আলোকপাত করেন তিনি। চলতি বছরের গোড়ায় ভারত ও জাপানের মধ্যে দক্ষ মানব সম্পদ বিনিময় চুক্তি হয়েছে বলেও জানান অভিজ্ঞ এই কূটনীতিক।



প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও জাপানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে এদিন জানান শ্রিংলা। তিনি বলেন, জাপান একমাত্র রাষ্ট্র, যাদের সঙ্গে ভারতের যৌথভাবে প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের (২+২) সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।



ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে দু দেশের অংশীদারিত্বের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সম্পর্কের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এই অঞ্চলের প্রতি আমাদের কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে ক্রমবর্ধমান সংহতির পরিচায়ক। এটি একটি উন্মুক্ত এবং অন্তর্ভূক্তিমূলক ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”



অঞ্চলটিতে কোয়াড গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে বলেও অভিমত দেন হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।