মোতায়েনের পর ক্ষেপনাস্ত্রটি ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্যে শক্তির আধার হিসেবে কাজ করবে।

সামরিক ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো ভারত। ২৩ জুলাই, শুক্রবার, দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটে‌ ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংগঠন (ডিআরডিও) উড়িষ্যার বালাসোর থেকে আকাশ-এনজি ক্ষেপনাস্ত্রের সফলতম পরীক্ষা চালায়। এটি তিনদিনের ব্যবধানে নিউ-জেনারেশন আকাশ ক্ষেপনাস্ত্রের দ্বিতীয় সফল পরীক্ষণ।



পরীক্ষা চালানো এই মিসাইলটি মাটি থেকে হাওয়াতে লক্ষ্যভেদ করা একটি অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। ৩০ কিমি গতি ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিসাইলটি গত তিনদিনের ব্যবধানে দু’বার সফল পরীক্ষণ করা হয়েছে। মিসাইলটিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর জন্য বিকশিত করা হচ্ছে।



২০১৬ সালেই এই মিসাইলটিকে বানানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই মিসাইলে ডুয়েল পালস সলিড রকেট মোটর রয়েছে, যা এর গতি বাড়াতে সাহায্য করবে। এর রেঞ্জ ৪০ থেকে ৮০ কিমির বলে জানা যাচ্ছে। মিসাইলে অ্যাকটিভ ইলেক্ট্রোনিকাল স্ক্যান্ড মাল্টি ফাংশন র‍্যাডার রয়েছে, যেটি একসঙ্গে অনেক শত্রু মিসাইল অথবা বিমানকে স্ক্যান করতে সক্ষম।



গত ২৫ জানুয়ারি ডিআরডিও এই মিসাইলটি উড়িষ্যার চাঁদিপুর রেঞ্জের মোবাইল প্ল্যাটফর্ম থেকে পরীক্ষা করেছিল। সেই সময়ও মিসাইলের পরীক্ষণ সফল হয়েছিল।



প্রসঙ্গত, নিউ-জেনারেশন আকাশ (আকাশ-এনজি) মিসাইলের মোট ওজন ৭২০ কেজি। মিসাইলটি ১৯ ফুট দীর্ঘ আর ১.১৬ চওড়া। মিসাইলটি ৬০ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে সক্ষম। ভারতে আপাতত এই মিসাইলে তিনটি ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। প্রথমটি হল আকাশ এমকে। দ্বিতীয়টি আকাশ এমকে ২। তৃতীয়টি আকাশ এনজি।



আকাশ-এনজি মিসাইলটি ২০ কিমি উচ্চতায় গিয়ে মিসাইল অথবা বিমান ধ্বংস করতে সক্ষম। এর সবথেকে বিপজ্জনক দিকটি এর গতি। আকাশ-এনজি মিসাইলের গতি শত্রুকে কিছু ভাববার পর্যন্ত সময় অবধি দেবে না। ৪ হাজার ৩২১ কিমি প্রতি ঘণ্টার গতিতে শত্রুপক্ষের বিমান অথবা মিসাইলে আঘাত করবে এটি।