মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ভারত সফরে আসছেন ব্লিংকেন।

দু’দিনের সফরে আজ ভারতে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ভারতে অবতরণের কথা রয়েছে তাঁর। আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনমনের মাঝেই তাঁর এই ভারত সফরকে বিশেষ তাৎপর্যের সঙ্গে দেখছে বোদ্ধা মহল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো ভারত সফরে আসছেন ব্লিংকেন।



পরবর্তীতে, আগামী ২৮ জুলাই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ভারতীয় জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। উচ্চ-স্তরের সেই সংলাপে করোনা মহামারী, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, আফগানিস্তান এবং জাতিসংঘ সহ নানা ইস্যুতে ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা। পাশাপাশি, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির নানাবিধ কলাকৌশল নিয়েও আলোচনা করবেন তাঁরা।



এর আগে বিষয়টি জানিয়ে এক বিবৃতি দেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। আগামী ২৯ জুলাই ভারত হতে কুয়েতের উদ্দেশ্যে রওনা করবেন ব্লিংকেন।



ইতোমধ্যে, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্লিংকেনের এই সফরকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব বৃদ্ধির সুযোগ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।



ধারণা করা হচ্ছে, কোয়াডের স্ব-শরীরে একটি সম্মেলন আয়োজন নিয়ে আলোচনা করবেন ব্লিংকেন। চীনের প্রভাব মোকাবিলায় ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র কোয়াড গ্রুপে একত্রিত হয়েছে।



কূটনীতিকরা বলছেন, এই বৈঠকটি সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পাল্টা আঞ্চলিক অবকাঠামো গড়ে তোলার উপায় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।



শুক্রবার ব্লিনকেন বলেছেন, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এখন তারা অভ্যন্তরীণ সংকটে আছে। কিন্তু একবার উৎপাদন পূর্ণ গতি পেয়ে গেলে বিশ্বকে তারা আবার টিকা দিতে শুরু করবে। যা বড় পার্থক্য গড়ে দেবে।”



এছাড়াও, শুক্রবার, দক্ষিণ ও মধ্য এশীয় বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী সচিব ডিন থম্পসন বলেছেন, “মূলত সুরক্ষা, প্রতিরক্ষা, সাইবার এবং সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার ক্ষেত্রে সম্পর্ক সম্প্রসারণের বিষয় গুলো আলোচনায় প্রাধান্য পেতে চলেছে।”



প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বৈঠকটিতে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে মার্কিন বাহিনীর বিদায়ের ঘোষণার পর থেকেই ক্ষমতার লড়াইয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত সরকারী বাহিনী এবং তালেবান। ক্রমাগত দেশটিতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা। অধিকাংশ ভূমিতে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে আফগান সরকারী বাহিনী।



এমতাবস্থায়, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার করবে। তখন আফগানিস্তানে পুরোদমে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যম গুলো আশঙ্কা করছে।