টহলটি দু পক্ষের মধ্যকার পারস্পরিক বিশ্বাস, সংযোগ এবং উচ্চতর সহযোগিতার দিকেই ইঙ্গিত করে।

সমন্বিত টহলে অংশ নিয়েছে ভারত ও ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনী। ৩০ জুলাই, শুক্রবার, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমায় উক্ত যৌথ নৌ টহল শুরু করে দেশ দুটো। মূলত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি মজবুতকরণে দুদিন ব্যাপী এই টহলের আয়োজন করেছে তাঁরা।



প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি দেশীয়ভাবে তৈরী অফশোর টহল জাহাজ সারিয়ু এবং ইন্দোনেশিয়ার নৌবাহিনীর জাহাজ কেআরআই বুং টোমো সম্মিলিতভাবে টহলে অংশ নিয়েছে।



এটি দু দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার ৩৬ তম যৌথ টহল বা করপ্যাট। ৩০ এবং ৩১ জুলাই সময়কালে দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই করপ্যাটে উভয় দেশের মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফ্টের অংশগ্রহণও দেখা যাবে।



টহলটি দু পক্ষের মধ্যকার পারস্পরিক বিশ্বাস, সংযোগ এবং উচ্চতর সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করবে। ভারত মহাসাগরের এই অঞ্চলটি বাণিজ্যিক জাহাজীকরণ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নির্বিঘ্নকরণ এবং আইন সমুন্নত রাখতে ২০০২ সাল থেকে বছরে দুবার করে এমন সমন্বিত পেট্রোল বা টহল পরিচালনা করে আসছে দেশ দুটো।



প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, যৌথ টহল বা মহড়া আয়োজনের মাধ্যমে দুই বাহিনীর মধ্যকার বোঝাপড়া এবং যোগাযোগ বৃদ্ধি, নিরাপদভাবে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান, অবৈধ ফিশিং বন্ধ, মাদক পাচার রোধ, চোরাচালান বন্ধ, অবৈধ অভিবাসন বন্ধ, সামুদ্রিক সন্ত্রাসবাদ রোধ, জলদস্যুদের নির্মূল সহ ইত্যাদি নানা প্রকার বেআইনী কার্যকলাপ দমন সহজ হয়ে যায়।



সাম্প্রতিককালে মিত্র রাষ্ট্রসমূহের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধিকল্পে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সঙ্গে যৌথ মহড়া কিংবা টহলে অংশ নিচ্ছে ভারত। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও নিয়মিত কাজ করছে তাঁরা। মহড়ার ফলে দু দেশের নৌবাহিনীর মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।