ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৬০ ভাগই তরুণ। এদের কাজে লাগাতে পারলে সর্বোপরি ভারতই লাভবান হবে।

বিশ্বমঞ্চে ভারতকে উপযুক্ত স্থানে তুলে ধরতে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিলেন ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব শ্রী হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষ উদযাপনকালে গত ১৫ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ‘ফরেন পলিসি সার্ভে – ২০২১’ -অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পররাষ্ট্র বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ এবং থিংক ট্যাঙ্কের পরামর্শকদেরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজের সঙ্গে ব্যাপকভাবে যুক্ত করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি। ২০১৫ সাল থেকেই এই প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান তিনি। শ্রিংলা বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয় এমন এক ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যা বিচক্ষণ তরুণদেরকে দেশের পররাষ্ট্র নীতি প্রণয়ন প্রক্রিয়াতে অবদান রাখার সুযোগ করে দিবে।”

একই সঙ্গে, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নিয়মিত বিষয়ভিত্তিক সেমিনার এবং মতবিনিময় সভার আয়োজন করার আহবানও জানান তিনি। এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবে সমর্থন জোগাবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “মন্ত্রণালয় ইন্টার্নশিপ কর্মসূচিকে ঢালাওভাবে সাজিয়েছে। আমরা দেশের প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। এখানে উপযুক্ত লিঙ্গ ভারসাম্যের বন্দোবস্তও করা হয়েছে।”

এসময় পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে সরকার কর্তৃক গৃহীত ‘সমীপ’ উদ্যোগের কথাও সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন শ্রিংলা। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগের ফলে আমাদের দপ্তরে এবং বিদেশে কর্মরত তরুণেরা নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করছে এবং বিদেশ নীতি বিষয়ে তরুন প্রজন্মের সঙ্গে নিজেদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছে।”

এছাড়াও, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ সমূহের সুফল দেশের সকল সম্প্রদায়ের কাছেই পৌছেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। শ্রিংলা বলেন, “আমি নিজেই সারাদেশ জুড়ে বিভিন্ন থিংক ট্যাঙ্ক, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, পাবলিক ফোরাম এবং শিল্প সমিতির প্রোগ্রামে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির রূপরেখা সম্পর্কে ব্যাপকভাবে কথা বলেছি।”


এসময়, ভারতকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। এসময় তিনি জানান, প্রতি বছর প্রায় ৩ হাজারের অধিক ছাত্রকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) এর আওতায় বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও, বাংলাদেশের সঙ্গে এসব বুদ্ধিবৃত্তিক সাংস্কৃতিক আদান প্রদানের ক্ষেত্রে অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।