আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ৬৫ তম সাধারণ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন প্রাপ্ত হয়ে বহিঃ নিরীক্ষক নির্বাচিত হয়েছে ভারতের সিএজি।

ছয় বছর মেয়াদে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বহিঃ নিরীক্ষক নির্বাচিত হয়েছে ভারতের কম্পট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)। অস্ট্রিয়া ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থাটিতে আগামী ২০২২ হতে ২০২৭ অবধি এই দায়িত্ব পালন করবে ভারত।

সম্প্রতি ভিয়েনাতে শেষ হওয়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ৬৫ তম সাধারণ অধিবেশনে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন প্রাপ্ত হয়ে উক্ত পদে নির্বাচিত হয়েছে ভারতের সিএজি। পরবর্তীতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থায় ভারতের বহিঃ নিরীক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজেদের বলিষ্ঠ অবস্থানের জানান দেয়ার স্বরূপ বলে জানানো হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে। এতে আরও যোগ করা হয়, ভারত তাঁর পেশাদারিত্ব মনোভব, গুণগত মান, সিএজি -এর দরকষাকষির স্বীকৃতি হিসেবেই উক্ত সম্মান বয়ে এনেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, “ভারতের পারমাণবিক কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো মানবজাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধিতে কাজ করা। নিউক্লিয়ার এনার্জির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকে আমরা সবসময়ই সমর্থন জানাই।”


উল্লেখ্য, পারমাণবিক শক্তির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে এবং মানবজাতির কল্যাণের বৃহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৫৭ সালে স্থাপিত হয় আন্তর্জাতিক পারমাণবিক সংস্থা। সংস্থাটিতে ভারতের অন্তর্ভূক্তি সার্বিকভাবে রাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত সম্মানজনক বলে আখ্যায়িত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর।

এর আগে গত এপ্রিলে ২০২১-২০২৩ মেয়াদে তিন বছরের জন্য ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ সংস্থা -ওপিসিডব্লিউ’ -এর বহিঃ নিরীক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয় ভারতের সিএজি। প্রসঙ্গত, বিশ্বে রাসায়নিক অস্ত্র পুরোপুরি ধ্বংসের প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি- ‘রাসায়নিক অস্ত্র কনভেনশন (সিডব্লিউসি)’। এ কনভেনশন বাস্তবায়নে নব্বইয়ের দশক থেকে কাজ শুরু করে ওপিসিডব্লিউ। সংস্থাটি সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রে আসে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের কাজ শুরু করার পর।