বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গুলোকে যেকোনো ধরণের সহযোগিতা না করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন মোদী ও বাইডেন।

জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের পাশাপাশি আজ সারাদিনই বিশ্ব মিডিয়ার অন্যতম হট টপিক বহুল প্রতীক্ষিত মোদী-বাইডেন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। গত ২৪ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, হোয়াইট হাউজে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্বালে বহুল প্রতীক্ষিত বৈঠকটির আয়োজন করা হয়।



আফগানিস্তান নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সাথে বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি। করোনা মহামারি, বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন, কোয়াডসহ নানা বিষয়ে ওভাল অফিসে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।



বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ দমন ইস্যুতে ব্যাপক আলোচনা করেন দুই নেতা। এসময়, মুম্বাইয়ে সংঘটিত ২৬/১১ হামলার অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহবান জানান বাইডেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী গুলোকে যেকোনো ধরণের সহযোগিতা না করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন মোদী ও বাইডেন।



এসময় আঞ্চলিক নিরাপত্তা, আফগানিস্তান ইস্যু এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জোর দেন উভয় নেতৃত্ব। আফগানিস্তানে তালেবান নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে নিরাপত্তা পরিষদের ২৫৯৩ নং রেজুলেশন মেনে চলার আহবান জানান তাঁরা।



দুই নেতার বৈঠকে, নারী ও শিশু সহ সব আফগান এবং সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়, তালিবানদের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাবে এই বার্তা পাঠায় ভারত ও আমেরিকা। একই সঙ্গে, কাবুলের নতুন শাসকদের যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে যেনো অন্য কোনও দেশে আক্রমণ চালানো বা জঙ্গিদের আশ্রয় কিংবা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহার না করা হয়- তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে তালেবান নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে।



এছাড়াও, সন্ত্রাসীদেরকে প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করে যুদ্ধ পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে নিন্দা জ্ঞাপন করেন মোদী-বাইডেন নেতৃত্ব। সরাসরি, পাকিস্তানের নাম না করে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ায় ইসলামাবাদের ভূমিকা নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।



এসবের পাশাপাশি ইউএস-ইন্ডিয়া কাউন্টার নারকোটিকস ওয়ার্কিং গ্রুপের সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন মোদী ও বাইডেন। মাদক পাচার, অবৈধ মাদকদ্রব্য উৎপাদন এবং রাসায়নিক সরবরাহ চেইনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রচেষ্টাকে সহজতর করতে একটি নতুন দ্বিপাক্ষিক কাঠামো চূড়ান্ত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন দুই নেতা।



বৈঠক শেষে মোদি এক টুইটে বলেন, “জো বাইডেনের সঙ্গে দারুণ বৈঠক হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়ে তার নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। আগামী দিনে কোভিড পরিস্থিতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমেরিকা ও ভারত কীভাবে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবে, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।”