মহামারী প্রতিরোধে জি-২০ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

মহামারী থেকে উত্তরণের জন্যে সবাইকে প্রথমে টিকার আওতায় আনা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত ১৩ অক্টোবর, বুধবার, জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের (এফএমসিবিজি) সমন্বয়ে আয়োজিত চতুর্থ সাধারণ সভায় এসব কথা বলেন তিনি।



ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, চলমান আইএমএফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের বার্ষিক বৈঠকের ফাঁকে ইতালীর সভাপতিত্বে ওয়াশিংটন ডিসিতে জি-২০ জোটের অর্থমন্ত্রীদের এই বৈঠকটি আয়োজিত হয়। এতে মহামারী প্রতিরোধে জি-২০ কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ও ত্রাণ কার্যক্রমের প্রশংসা করেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।



নিজ বক্তব্য প্রদানকালে নির্মলা বলেন, “মহামারী পরবর্তী বিশ্বে আমাদের নীতিগত লক্ষ্য হওয়া উচিৎ পারস্পরিক সমর্থন বজায় রাখা, স্থিতিশীলতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার।”



এসময়, মহামারী থেকে উত্তরণকল্পে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়ে সম্মতি প্রদর্শন করেন জি-২০ জোটের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরগণ।



এছাড়া, বৈঠকটিতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে মহামারী সহায়তা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পদক্ষেপ, আন্তর্জাতিক কর ও আর্থিক খাতের সমস্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।



জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনাকালে এর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেন নির্মলা সীতারামন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিশ্বের যেসব বৈচিত্র্যময় স্থান ও পয়েন্ট আক্রান্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বা হবার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলো রক্ষার্থে জলবায়ু পরিবর্তনের উপর জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন এবং প্যারিস চুক্তি অনুসারে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে।”



আলোচনার এক পর্যায়ে অর্থনীতির ডিজিটালাইজেশনের উপরও জোর দেন তিনি। বক্তব্যের শেষ ধাপে এসে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিকে শক্তিশালী, টেকসই, ভারসাম্যপূর্ণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য জি-২০ এর তত্ত্বাবধানে একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরী ও সে মোতাবেক এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন ভারতীয় অর্থমন্ত্রী।