ইতোমধ্যে বেশ কিছু দেশে ভারতের তৈরী করোনার টিকার চালান পৌছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র দপ্তর।

ভারতের তৈরী করোনা ভ্যাকসিন পুনরায় বিদেশে সরবরাহ করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর। গত ১১ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিং চলাকালে দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “করোনা মোকাবেলায় নতুন ধাচের ভারতীয় ভ্যাকসিন তৈরি করার পাশাপাশি আমরা চলতি ভ্যাকসিনের উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়িয়ে তুলছি। আমাদের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে অন্যদেরও ভ্যাকসিন সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে সক্ষম হয়েছি।”

ইতোমধ্যে কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় বেশ কিছু দেশে ভারতের তৈরী করোনার টিকার চালান পৌছে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের তথ্য মোতাবেক, ভ্যাকসিন মৈত্রী উদ্যোগের অধীনে করোনার শুরু থেকে এখনও অবধি ভারত পৃথিবীর প্রায় ৯৫ টি দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে। সংখ্যার হিসেবে প্রায় ৬৬৪ লক্ষ ডোজ টিকা সরবরাহ করেছে ভারত, যার মধ্যে ১০৭ লক্ষ ভ্যাকসিন ডোজ অনুদান হিসাবে, ৩৫৮ লক্ষ বাণিজ্যিক সরবরাহ হিসাবে এবং ১৯৯ লক্ষ ডোজ কোভ্যাক্স সুবিধার অধীনে সরবরাহ করা হয়েছে।

এখনও অবধি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া এবং ভারত বায়োটেক এর তৈরী এস্ট্রোজেনকা এবং কোভ্যাক্সিন এর মাধ্যমে উক্ত কার্যক্রম চালু রেখেছে ভারত। তবে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় আভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা ভেবে সাময়িক ভাবে কিছু মাসের জন্য করোনা টিকা সরবরাহ বন্ধ রেখেছিলো ভারত।

উল্লেখ্য, এখনও অবধি ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলো সহ বিশ্বের প্রায় ৯০ এর অধিক রাষ্ট্র ভারতীয় ভ্যাকসিন গুলোর যথার্থতার স্বীকৃতি দিয়েছে। তাছাড়া, করোনা ঠেকাতে ৭৭.৮ শতাংশ সফল কোভ্যাক্সিন, এমন স্বীকৃতিও ইতোমধ্যে দিয়ে দিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘দ্য ল্যানসেট’-এ প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন।