চলতি বছরের শেষ দিকে নৌবাহিনীর কাছে পাঠানোর পূর্বে সাবমেরিনটি তীব্র পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে বলে জানানো হয়েছে।

সময়ের সঙ্গে ক্রমশ উন্নত হচ্ছে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেই উন্নয়নের অংশ হিসেবেই প্রথম পরীক্ষামূলক সমুদ্র ট্রায়ালে নামলো দেশটির ৫ম স্করপিন সাবেমেরিন ‘ভগির’। ০২ ফেব্রুয়ারী, বুধবার, মুম্বাই থেকে প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক যাত্রা শুরু করে সাবমেরিনটি। গত বছর ডিসেম্বরে সমুদ্রযাত্রায় নামার কথা থাকলেও বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কারণে এর প্রথম ট্রায়ালে বিলম্ব হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘ভগির’ নামটি একটি শিকারী সামুদ্রিক প্রজাতির স্যান্ড ফিশ থেকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, রাশিয়ার তৈরী ‘ভগির’ নামেরই অপর একটি ভারতীয় জাহাজ ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল অবধি ভারতীয় নৌবাহিনীতে ব্যবহৃত হয়েছিলো।

ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, প্রোজেক্ট ৭৫ এর পঞ্চম সাবমেরিন ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মাজ়্যাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেডে শুরু হয়েছিলো। ২০২১ সালে ভারতীয় নৌসেনাকে দুটি স্করপিন সাবমেরিন দেয় মাজ়্যাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড। তবে মূলত, করোনা মহামারির কারণে সাবমেরিনে মহড়াতে বিলম্ব হয়েছে।

প্রথমবারের মতো সামুদ্রিক অভিযানের সময়, ‘ভগির’ সাবমেরিনটি সমুদ্রে সমস্ত সিস্টেম, প্রপালশন সিস্টেম, অস্ত্র এবং সেন্সর সহ সবধরনের আবশ্যিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাবে। গত বছর প্রজেক্ট ৭৫ এর আওতায় আইএনএস করঞ্জ এবং আইএনএস ভেলা-কে মুম্বাইতে নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

ইতোপূর্বে, স্করপিন শ্রেণির প্রথম সাবমেরিন হিসেবে আইএনএস কালাভারি ২০১৭ সালে নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো। এরপর ২০১৯ সালে আইএনএস খাণ্ডেরি ভারতীয় নৌসেনার হাতে আসে। সবকটি সাবমেরিনই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এবং যেকোনো ধরনের লড়াইতে অংশগ্রহণ করতে সক্ষম।

স্করপিন শ্রেণির সাবমেরিন নৌবাহিনীর জন্য একটি মূল সম্পদ কারণ তাঁরা অ্যান্টি-সাবমেরিন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারে। এই সাবমেরিনগুলো বিভিন্ন ধরণের টর্পেডো এবং মিসাইল সিস্টেম চালু করতে সক্ষম। সাবমেরিনগুলো সমুদ্রসীমায় নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের ব্যবস্থার একটি পরিসীমা দিয়ে সজ্জিত।

ভারতীয় ইয়ার্ডে এই সাবমেরিন গুলোর নির্মাণ 'আত্মনির্ভর ভারত'-এর দিকে আরও একটি পদক্ষেপ বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা দপ্তর। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক