কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ সফলভাবে আয়োজন করায় মালদ্বীপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া দিদির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। ১০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে দুজনের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। মারিয়া দিদির সাথে আলোচনাকালে মালদ্বীপের সাথে সময়-পরীক্ষিত দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন অজিত দোভাল।

পরবর্তীতে এক টুইটবার্তায় সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মালদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ সফলভাবে আয়োজন করায় মালদ্বীপকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।

তাছাড়া, মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষেও বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে এক টুইট করা হয়।

উল্লেখ্য, ০৯ ও ১০ মার্চ দুদিন ব্যাপী মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে অনুষ্ঠিত হয় পঞ্চম কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার ও স্থিতিশীল করতে বৈঠকে যোগ দেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস, বাংলাদেশ এবং সেশেলসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিগণ।

ইউক্রেন ইস্যুতে বিশ্ব ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে যখন নানামুখী মেরুকরণের আভাস, ঠিক সেই সময়ে মিনিলেটারাল এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো। সভাটির এবারের মূল আয়োজক নীল জলরাশির হাজারের বেশি ছোট-বড় দ্বীপ সমৃদ্ধ এশিয়ার আকর্ষণী পর্যটন গন্তব্য মালদ্বীপ।

দু’দিনের এই বৈঠকে মোটাদাগে ভারত মহাসাগরের সার্বিক নিরাপত্তা, সমুদ্রপথ ব্যবহার করে সংঘটিত মানব পাচার, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী তৎপরতা প্রতিরোধ এবং সাইবার তথা প্রযুক্তি নির্ভর যেকোনো প্রভাবশালী রাষ্ট্রের অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, মহাসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশির সৌন্দর্য-সম্ভোগে কেউ অপপ্রয়োগ করলে সম্ভাব্য প্রতিরোধী ব্যবস্থা কি হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। সমুদ্রপথে অস্ত্র-গোলা, স্বর্ণ বা মাদক পাচার, সন্ত্রাস এবং চরমপন্থা আমদানি-রপ্তানি মামুলি বিষয়। তাই সেখানে পাইরেসির ঝুঁকি যেমন রয়েছে, দুর্যোগ-দুর্বিপাক তো নিত্যদিনের ঘটনা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও সেশেলসের প্রতিনিধিদল পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিয়েছে। বৈঠকে ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

উল্লেখ্য, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) মূল লক্ষ্যগুলো যথাক্রমে, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্ট্রিমলাইন করা এবং আন্তঃকার্যক্ষমতা উন্নত করা। এর আগে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের অধীনে সহযোগিতার মূল চারটি ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছিলো সদস্য দেশগুলো। সেগুলো যথাক্রমেঃ সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ নিয়ন্ত্রণ, পাচার এবং সংগঠিত অপরাধ দমন এবং সাইবার নিরাপত্তা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক