হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, ভারত রাশিয়ার চেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি তেল আমদানি করে

রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়ানোর দরুণ ভারতকে কোনো প্রকার সতর্কতা কিংবা হুমকি বার্তা দেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ০৯ এপ্রিল, শুক্রবার, এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি।

তিনি বলেন, “মার্কিন উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দলীপ সিং রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতকে হুমকি দিয়েছেন, এটি সত্য নয়। ভারত মস্কোর চেয়ে ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বেশি তেল আমদানি করে। রাশিয়া থেকে যেখানে ভারত মাত্র ১ বা ২ শতাংশ তেল আমদানি করে, সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রায় ১০ শতাংশ তেল ক্রয় করে থাকে। দলীপ সিং ভারতে গিয়ে গঠনমূলক আলোচনা করেছিলেন। ভারত সহ প্রতিটি পৃথক দেশের নিজস্ব সিদ্ধান্ত যে তারা রাশিয়ান তেল আমদানি করবে কিনা।”

তবে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা চায় না ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য যে দেশ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে, তাদের থেকে জ্বালানি বা অন্যান্য পণ্য কেনা বাড়াক নয়াদিল্লি। তাই অন্য জায়গা থেকে তেল আমদানির চেষ্টা করলে, এক্ষেত্রে ভারতের পাশে থাকতে তৈরি আমেরিকা।

জেন সাকি বলেন, ‘‘আমাদের মনে হয় না ভারতের রাশিয়া থেকে জ্বালানি এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়ানো উচিত। যদিও এটা সংশ্লিষ্ট দেশের একেবারে নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে, ভারতকে ভরসাযোগ্য রফতানিকারী হিসেবে পাশে থাকবে আমেরিকা।”

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত ভারত কোনও ভাবেই চাপের মুখে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে না। আইওসি-র মতো বিপিসিএল-ও এই টানাপড়েনের মধ্যেই রাশিয়া থেকে ২০ লক্ষ ব্যারেল তেল কিনেছে ভারত।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর যুক্তি, ‘‘রাশিয়া থেকে ইউরোপে জ্বালানি এবং সারের জোগান অব্যাহত। তাই বাণিজ্য নিয়ে আমাদের উপরে কোনও চাপ নেই। কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে ঠিকই। কিন্তু তা সামগ্রিক বাণিজ্যিক আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে নয়। অপরিশোধিত তেলের বাণিজ্য তো চলছে। সামান্য কিছু সমস্যা থাকতেই পারে।’’

মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ‘স্থিতিশীল’ করার প্রসঙ্গটিকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য তাদের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কে কিছু অস্থিরতা এসেছে। আপাতত সেটাকে স্থিতিশীল করাই লক্ষ্য।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক