চলতি বছর ভারতের অর্থনীতি ৬.৪ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ।

করোনা মহামারীতে ব্যাপক আর্থিক বিপর্যয় ও চ্যালেঞ্জ এবং চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে গোটা বিশ্ব অর্থনীতির বিধ্বস্ত অবস্থার পরও বিশ্বজুড়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে ভারত। এমনই আভাস মিললো জাতিসংঘের প্রতিবেদনে! চলতি বছর ভারতের অর্থনীতি ৬.৪% বাড়বে বলে আশা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

যদিও গতবছরের তুলনায় এবার কমতে চলেছে ভারতের জিডিপি, তথাপি, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির চাপ এবং অসম শ্রমবাজার নিয়ে বৈশ্বিক দুরাবস্থার কথা মাথায় রাখলে এবং বাকি দেশগুলোর সঙ্গে তুলনায় সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান অর্থনীতিতে পরিণত হতে যাচ্ছে ভারত। গত বছর ভারতের জিডিপি ছিলো ৮.৮%।

এদিকে, গোটা বিশ্ব অর্থনীতি চলতি বছরে ৩.১% -বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কিন্তু, গতবছর এর পরিমাণ ছিলো ৪.০%।

বুধবার প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক সিচুয়েশন অ্যান্ড প্রসপেক্টস (ডব্লিউইএসপি) রিপোর্টে, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ বলেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব বিশ্ব অর্থনীতির ভঙ্গুর বৃদ্ধিকে ব্যাহত করেছে, যা এখনও মহামারী থেকে পুরোপুরি পুনরুদ্ধার হয়নি। এটি ইউরোপে একটি বিপর্যয়কর মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনছে। খাদ্য ও দ্রব্যের দাম বাড়ন্ত এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও, খাদ্য ও শক্তির ব্যয়ের উচ্চ বৃদ্ধির পাশাপাশি চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি ৬.৭% বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডিপার্টমেন্টের গ্লোবাল ইকোনমিক মনিটরিং ব্রাঞ্চের প্রধান লেখক হামিদ রশিদের মতে, পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া বাদে, কার্যত বিশ্বের সমস্ত অঞ্চল উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দ্বারা প্রভাবিত।

ভারত সম্পর্কে কথা বলার সময়, তিনি বলেন, ভারত লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় একটি ভাল অবস্থানে রয়েছে, কারণ, এটিকে নাটকীয় আর্থিক কড়াকড়ি খুঁজতে হবে না। তবে এখনও ঝুঁকি রয়েছে বলে সতর্ক করেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক