চলতি বছর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ৫০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং সংগঠনে ভারতের ৩৫ বছর পূর্তির মাহেন্দ্র ক্ষণ।

আগামী ২৩ মে হতে ২৫ মে অবধি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে চলেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প, ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন এবং টেক্সটাইল মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। শুক্রবার এক বিবৃতিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৩ সালে জি-২০ গ্রুপের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছে ভারত। এমতাবস্থায়, আসন্ন ইভেন্টটি বিশ্বব্যাপী আখ্যান গঠনে এক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাসঙ্গিক স্টেকহোল্ডার হিসাবে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।

দাভোস সম্মেলন শেষে আগামী ২৬ ও ২৭ মে যুক্তরাজ্য সফরের কথা রয়েছে গোয়েলের। সেখানে মুক্তি বাণিজ্য চুক্তির অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে যাবেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ ভারত-যুক্তরাজ্যের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

এদিকে, দাভোস বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে গোয়েলের সঙ্গী হতে পারেন ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং রাসায়নিক ও সার মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া এবং পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। এছাড়াও, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী, সিনিয়র মন্ত্রীরা এবং উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ তাঁদের সফরসঙ্গী হিসেবে যাত্রা করবেন বলে জানা গিয়েছে।

অধিবেশন চলাকালীন মূল যে বিষয়াদি সম্বোধন করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে নীতি এবং ব্যবসায়িক সংস্কারের সহজতা, শক্তির রূপান্তর, ডিজিটাল অর্থনীতি, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইনে সুযোগ, ভারত একটি উদ্যোক্তা গন্তব্য হিসাবে ইউনিকর্ন গল্পকে আকার দেওয়া, ডিজিটাল স্পেসে ক্রমবর্ধমান প্রতিভার উপর জোর দেওয়া, স্বাস্থ্যসেবা ইকোসিস্টেমে উদ্ভাবন এবং গবেষণা।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারী, সোমবার, রাত সাড়ে আটটায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের দাভোস এজেন্ডায় ভাষণ দেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ছাড়াও ঐ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুয়া ভন ডের লেইয়েন, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ ছাড়া বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন শিল্পপতি অংশ নেন এই আলোচনা সভায়। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর-জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসিস, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিশেষ দূত জন এফ কেরি, ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন ল্যাগার্দে, ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর এনগোজি ওকোনজো-আইউইয়ালাও এই আলোচনাসভায় যোগ দিয়েছিলেন বলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তরফ থেকে জানানো হয়েছিলো। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক