চাকরির নাম করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করতে থাকা চক্রের সদস্যদের ধরতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর।

চাকরি দেওয়ার নাম করে তামিলনাড়ুর ১৩ জনকে থাইল্যান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ এরপর বেআইনি ভাবে তাঁদের মায়ানমার নিয়ে যান প্রতারক চক্রের সদস্যগণ৷ বুধবার সকালে চেন্নাইয়ে ফিরিয়ে আনা হল সেই ১৩ জন ভূক্তভোগীকে। এ কথা জানিয়েছেন সে রাজ্যের মন্ত্রী গিঙ্গি কেএস মস্তান৷

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, “থাইল্যান্ডে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করা হয় ১৩ জনের সঙ্গে৷ তাঁদের বেআইনি ভাবে মায়ানমার নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে এজেন্টের মাধ্যমে সবাইকে পাচার করা হয়েছিল৷ তাঁদের রক্ষা করার জন্য উদ্যোগ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন৷”

মস্তান আরও বলেছেন, “এখনও ৫০ জন তামিল মায়ানমারে আছেন এবং তাঁদেরও বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে৷” এদিকে, কোয়েম্বাটোর এলাকার এক ভূক্তভোগী জানিয়েছেন, “আমরা দুবাইতে একটা চাকরির জন্য আবেদন করেছিলাম৷ দুবাইয়ের এজেন্ট আমাদের বলেন, চাকরিটা থাইল্যান্ডে৷ তবে আমরা যখন সেখানে পৌঁছই, তখন দেখা যায় সেখানে আমাদের জন্য কোনও চাকরি নেই৷ এরপর গাড়িতে প্রায় ৪৫০ কিমি দূরের একটি জায়গায় ওঁরা আমাদের নিয়ে যান৷ সেখান থেকে একদল চীনা ব্যক্তি আমাদের বেআইনি ভাবে নদী পার করান৷”

ওই ভূক্তভোগী আরও জানিয়েছেন, “আমাদের ফোন তাঁরা নিয়ে নিজেদের কাছে রেখেছিলেন ৷ পরে জানতে পারি যে আমরা মায়ানমারে আছি ৷ আমাদের কাছে ভিসা ছিল না৷ বেআইনি ভাবে সেখানে ছিলাম৷ ভুয়ো আইডি থেকে আমাদের ভিআইপি-দের সঙ্গে চ্যাট করতে হত৷ আমাদের উপর মানসিক অত্যাচার করা হত৷ দিনে ১৫-১৬ ঘণ্টা কাজ করানো হত৷ বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে সেখানে অনেকেই এসেছিলেন৷ স্থানীয় সেনাবাহিনী আমাদের উদ্ধার করে৷”

এছাড়াও, এক টুইটবার্তায় ১৩ জনকে ফিরিয়ে আনার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক