বিগত মৌসুমে আখ-চিনি উৎপাদন, চিনি রপ্তানি, আখ সংগ্রহ, আখের বকেয়া এবং ইথানল উৎপাদনে রেকর্ড মাত্রা অর্জিত।

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে সদ্য সমাপ্ত চিনির মৌসুম শেষে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনকারী ও ভোক্তা দেশ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এক বিবৃতিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রণালয়। এছাড়া, ভারত এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি রপ্তানিকারক দেশও হয়ে উঠেছে বলে জানা গিয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে বলা হয়, পুরো চিনি খাতের জন্য এই মৌসুমটি ঐতিহাসিক। সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে আখ উৎপাদন, চিনি উৎপাদন, চিনি রপ্তানি, আখ সংগ্রহ, আখের বকেয়া এবং ইথানল উৎপাদনে রেকর্ড মাত্রা অর্জিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মৌসুমে রেকর্ড ৫ হাজার মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫৭৪ লাখ মেট্রিক টন আখ মাড়াই হয়েছে, যার মধ্যে উৎপাদন হয়েছে ৩৯৫ লাখ মেট্রিক টন চিনি (সুক্রোজ)। এর মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্রিক টন চিনি ব্যবহার করা হয়েছে ইথানল, আর উৎপাদিত হয়েছে ৩৫৯ লাখ মেট্রিক টন চিনি।

একই মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মৌসুমে ১০৯ দশমিক ৮ লাখ মেট্রিক টন চিনি রপ্তানি হয়েছে যা রেকর্ড মাত্রা। এ রপ্তানির সহায়তায় দেশ পেয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা। সরকারের মতে, ইথানল তৈরিতে চিনির ব্যবহারও রেকর্ড মাত্রায় পৌঁছেছে। এই পরিসংখ্যান ২০১৮-১৯ সালে ৩ এলএমটি থেকে ২০২১-২২ চিনির মরসুমে ৩৫ এলএমটি হয়েছে৷

তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মৌসুম শেষে ৬০ লাখ মেট্রিক টন চিনি মজুত রয়েছে যা আগামী ২.৫ মাসের চাহিদা মেটাতে পারে। মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আখ চাষীদের বকেয়া পরিশোধে পারফরম্যান্সও রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২১-২২ সালের চিনি মৌসুমে ১.১৮ লাখ কোটি টাকার আখ কেনা হয়েছে।

একই সময়ে, এখনও পর্যন্ত ১.১২ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মৌসুমে বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে ৯৫ শতাংশ। একই সময়ে, ২০২১-২২ চিনি মৌসুমের প্রায় পুরো বকেয়া (৯৯.৯ শতাংশের বেশি) পরিশোধ করা হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক