চলতি বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ করেছে ভারত এবং মিশর। এই মাইলফলক স্মরণীয় করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে দু দেশ।
প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ অতিথি হয়ে ভারতে এসেছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি। আজ তাঁর সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির হায়দরাবাদ ভবনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য বিনিময়কে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির অঙ্গীকারও করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরের মিশরের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে। এদিকে মিশরের রাষ্ট্রপতি জানান, বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে।

প্রসঙ্গত, তিনদিনের সফরে গতকালই ভারতে আসেন আবদেল ফাত্তাহ। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার কর্তব্য পথে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। মিশরীয় সেনাবাহিনীর একটি সামরিক দলও প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেবে।

মিশরের রাষ্ট্রপ্রধানের আগমন এবং বৈঠক নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করেন। তিনি লেখেন, 'মিশরের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। এশিয়ার সঙ্গে আফ্রিকাকে সংযুক্তকারী প্রাকৃতিক সেতু হল মিশর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রেসিডেন্ট এল-সিসি ভারত ও মিশরের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে আলোচনা করেছেন। দুই দেশ সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সংযোগের মাধ্যমে সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ।'

প্রসঙ্গত, এই নিয়ে তৃতীয়বার ভারতে এলেন এল-সিসি। এর আগে ২০১৫ সালে এবং ২০১৬ সালে ভারতে এসেছিলেন তিনি। এদিকে মিশরের রাষ্ট্রপতির ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। যুবসমাজের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে দুই দেশের।


প্রসঙ্গত, আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারগুলোর একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হল মিশর। এই আবহে মিশরের সঙ্গে সম্পর্কের পরিসর আরও বৃদ্ধি করতে আগ্রহী ভারত। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক