সন্ত্রাস নির্মূলে সমন্বিত ও একাগ্র পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন উভয় নেতা। একসঙ্গে কাজের অঙ্গীকারও করেন তারা।
সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ অতিথি হয়ে ভারতে এসেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। গত বুধবার তার সাথে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দিল্লির হায়দরাবাদ ভবনে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হয়।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবিরোধী তথ্য বিনিময়কে আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির অঙ্গীকারও করেন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি আরও জানান, আগামী পাঁচ বছরের মিসরের সাথে বাণিজ্যের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে।

এ দিকে মিসরের প্রেসিডেন্ট জানান, বৈঠকে বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাথে। তিন দিনের সফরে গত মঙ্গলবার ভারতে আসেন আবদুল ফাত্তাহ। এবার সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি। গত বৃহস্পতিবার সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। মিসরীয় সেনাবাহিনীর একটি সামরিক দলও সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নেয়।

মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানের আগমন এবং বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘মিসরের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব গভীর। এই নিয়ে তৃতীয়বার ভারতে এলেন আল-সিসি। এর আগে ২০১৫ সালে এবং ২০১৬ সালে ভারতে এসেছিলেন তিনি।

মিসরের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরকালে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। যুবসমাজের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, জাতীয় সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সাইবার সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে দুই দেশের। আফ্রিকা ও ইউরোপের বাজারগুলোর একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হলো মিসর। এই আবহে মিসরের সাথে সম্পর্কের পরিসর আরো বৃদ্ধি করতে আগ্রহী ভারত। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক