আফ্রিকা মহাদেশের ২২ টা দেশকে নিয়ে পুনের আউন্ধ মিলিটারি স্টেশনে বিরাট সামরিক মহড়ার আয়োজন করছে নয়াদিল্লি
আন্তর্জাতিক প্রভাব বৃদ্ধির আসরে ফের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ভারত-চীন। বিগত কয়েক বছর ধরে আফ্রিকার দেশগুলোতে প্রভাব বাড়িয়েছে চীন। অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক তো বটেই, সামরিক ক্ষেত্রেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের।
ভারত, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও প্রভাব বৃদ্ধির এই খেলায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল চীনের চেয়ে। কিন্তু একটি সামরিক মহড়ার সাম্প্রতিক ঘোষণা আবারও টেক্কা দিলো বেইজিংকে। আফ্রিকা মহাদেশের ২২ টা দেশকে নিয়ে পুনের আউন্ধ মিলিটারি স্টেশনে বিরাট সামরিক মহড়ার আয়োজন করছে নয়াদিল্লি। এই মহড়াকে সহজভাবে নেয়ার কোনো উপায়ই চীনের নেই-বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা।
এবারের মহড়াটির নামকরণ করা হয়েছে আফ্রিকা-ইন্ডিয়া ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ বা সংক্ষেপে আফিনডেক্স – ২৩। ২১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মহড়াটি। ইতোমধ্যে নয়টি আফ্রিকান রাষ্ট্র তাঁদের সেনা কর্তাদের ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, ইথিওপিয়া, ঘানা, কেনিয়া, লেসোথো, নাইজার, সেশেলস, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া।
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পুনেতে প্রথমবারের মতো আফ্রিকা-ইন্ডিয়া ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
জানা গিয়েছে, ভারত ও আফ্রিকার দেশগুলো সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মহড়া দেবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি বাহিনীর অংশ হিসেবে ভারত বহু বছর ধরে আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ দীর্ণ দেশগুলোতে যে শান্তিরক্ষার কাজ করে আসছে, তার মহড়াও পুণেতে হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠার লক্ষ্যেই আফ্রিকার দিকে বিশেষ করে নজর দিয়েছিল চীন। গত কয়েক বছর ধরে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে নানা আর্থিক ও বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে তারা। যার সুবাদে অনেকগুলো আফ্রিকান দেশের বাজারই এখন চীনের দখলে। ভূ-কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ‘হর্ন অব আফ্রিকা’য় (জিবুতি) চীন পুরোদস্তুর সামরিক ঘাঁটিও বানিয়ে ফেলেছে।
দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকার ওপরে যেভাবে প্রভাব বাড়িয়েছে চীন, ভারত তাতে ভাগ বসাক-এমনটা বেইজিং কিছুতেই চাইবে না। তাই আফ্রিকা মহাদেশেরই ২২টি দেশ একযোগে ভারতের নেতৃত্বে সামরিক মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বেইজিংয়ের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে।
জিবুতির চীনা সামরিক ঘাঁটির পাল্টা হিসেবে আরব সাগরের বুকে সেশেলসের অ্যাসাম্পশন আইল্যান্ডে সামরিক ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করেছে ভারত। মূলত চীনের অস্বস্তি তখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে। এবার আফ্রিকার ২২ টি দেশ ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় সামরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার যে সিদ্ধান্ত নিল, তা চীনের পছন্দ হবে-এমনটা ভাবার কোনো কারণই নেই। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ভারত, এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও প্রভাব বৃদ্ধির এই খেলায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিল চীনের চেয়ে। কিন্তু একটি সামরিক মহড়ার সাম্প্রতিক ঘোষণা আবারও টেক্কা দিলো বেইজিংকে। আফ্রিকা মহাদেশের ২২ টা দেশকে নিয়ে পুনের আউন্ধ মিলিটারি স্টেশনে বিরাট সামরিক মহড়ার আয়োজন করছে নয়াদিল্লি। এই মহড়াকে সহজভাবে নেয়ার কোনো উপায়ই চীনের নেই-বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশারদরা।
এবারের মহড়াটির নামকরণ করা হয়েছে আফ্রিকা-ইন্ডিয়া ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ বা সংক্ষেপে আফিনডেক্স – ২৩। ২১ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মহড়াটি। ইতোমধ্যে নয়টি আফ্রিকান রাষ্ট্র তাঁদের সেনা কর্তাদের ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে, ইথিওপিয়া, ঘানা, কেনিয়া, লেসোথো, নাইজার, সেশেলস, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া।
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পুনেতে প্রথমবারের মতো আফ্রিকা-ইন্ডিয়া ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
জানা গিয়েছে, ভারত ও আফ্রিকার দেশগুলো সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মহড়া দেবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি বাহিনীর অংশ হিসেবে ভারত বহু বছর ধরে আফ্রিকার গৃহযুদ্ধ দীর্ণ দেশগুলোতে যে শান্তিরক্ষার কাজ করে আসছে, তার মহড়াও পুণেতে হবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আরও প্রভাবশালী হয়ে ওঠার লক্ষ্যেই আফ্রিকার দিকে বিশেষ করে নজর দিয়েছিল চীন। গত কয়েক বছর ধরে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে নানা আর্থিক ও বাণিজ্যিক চুক্তি করেছে তারা। যার সুবাদে অনেকগুলো আফ্রিকান দেশের বাজারই এখন চীনের দখলে। ভূ-কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল ‘হর্ন অব আফ্রিকা’য় (জিবুতি) চীন পুরোদস্তুর সামরিক ঘাঁটিও বানিয়ে ফেলেছে।
দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকার ওপরে যেভাবে প্রভাব বাড়িয়েছে চীন, ভারত তাতে ভাগ বসাক-এমনটা বেইজিং কিছুতেই চাইবে না। তাই আফ্রিকা মহাদেশেরই ২২টি দেশ একযোগে ভারতের নেতৃত্বে সামরিক মহড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ায় বেইজিংয়ের অস্বস্তি ক্রমশ বাড়ছে।
জিবুতির চীনা সামরিক ঘাঁটির পাল্টা হিসেবে আরব সাগরের বুকে সেশেলসের অ্যাসাম্পশন আইল্যান্ডে সামরিক ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু করেছে ভারত। মূলত চীনের অস্বস্তি তখন থেকেই বাড়তে শুরু করেছে। এবার আফ্রিকার ২২ টি দেশ ভারতের সঙ্গে আরও দৃঢ় সামরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার যে সিদ্ধান্ত নিল, তা চীনের পছন্দ হবে-এমনটা ভাবার কোনো কারণই নেই। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক