ভারত বর্তমানে জি-২০ গ্রুপের এবং জাপান বর্তমানে জি-৭ গ্রুপের সভাপতি হিসেবে সফলতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছে।
জি-৭ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সোমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জি-৭ সম্মেলনে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদীও সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, মে-তে হিরোসিমা যাবেন নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে, অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা সম্প্রসারণের পাশাপাশি ২০২৩ সাল ভারত-জাপান পর্যটনের প্রসার ঘটানো অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন ফুমিও কিশিদা।

এদিন দিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্রপ্রধান যুগ্মভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন। সাংবাদিকদের জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, “আজ আমি আনুষ্ঠানিকভাবে জি-৭ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং তিনি আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীওজ জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করার কথা জানিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, “আমাদের জি-২০ নেতৃত্বের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভগুলির মধ্যে একটি হল দক্ষিণ বিশ্বের দেশগুলির অগ্রাধিকারগুলিকে তুলে ধরা। পারস্পরিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের নিরিখে ভারত ও জাপান একই আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করে।” তাই জি-২০ ও জি-৭-এর মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারত ও জাপানের নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।

ফুমিও কিশিদার এবারের ভারত সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করতেও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা সহ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এদিন জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, প্রতিরক্ষা, ব্যবসা থেকে শুরু করে ডিজিটাল অংশীদারিত্ব সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।” এদিন তিনি ৩.২০ লক্ষ কোটি টাকার জাপানি বিনিয়োগ সহ জাপানের সঙ্গে আগে করা চুক্তিগুলির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক