ভারতের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, মহড়াটি দুই সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শেষ হলো বাংলাদেশ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে যৌথ প্রশিক্ষণ “এক্সারসাইজ সম্প্রীতি-১১”। গত ০৫ অক্টোবর এর সূচনা অনুষ্ঠান ভারতের উমরয় সেনানিবাস (মেঘালয়) এ অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৯ সালে আসামের জোড়হাটে প্রথম সম্প্রীতি অনুশীলন শুরু হয়, যা প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। উক্ত অনুশীলনে বাংলাদেশের পক্ষ হতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মফিজুল ইসলাম রাশেদ এবং ভারতের পক্ষ হতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস কে আনন্দ দলনেতা হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুশীলনটির শুভ উদ্বোধন করেন।
এই যৌথ অনুশীলনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান ইতিবাচক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা। এক্সারসাইজ সম্প্রীতি-১১ বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
দুই সপ্তাহব্যাপী এই অনুশীলনে বাংলাদেশ ও ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যবৃন্দ জাতিসংঘের ঈযধঢ়ঃবৎ ঠষষ এর আওতাধীন বেসামরিক ব্যক্তিদের সুরক্ষা কার্যক্রম, সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্যাটেল ড্রিল বিষয়ে যৌথ অভিযান অনুশীলন করবে। অনুশীলনটি কমান্ড পোস্ট এক্সারসাইজ (ঈচঢ) এবং ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (ঋঞঢ) হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে। উভয় দেশ হতে সর্বমোট ৭২ জন অফিসার, ১৯ জন জেসিও এবং ২৪৭ জন অন্যান্য পদবীর সৈনিকবৃন্দ উক্ত অনুশীলনে অংশগ্রহণ করছে।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সম্পর্ক সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি পেশাগত যোগাযোগের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমেয়। উল্লেখ্য, এই যৌথ অনুশীলনটি ১৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সমাপ্ত হলো। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক