রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন।
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শুক্রবার শপথ নিয়েছেন চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জু। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন তার দেশে কোনো বিদেশি সেনার উপস্থিতি থাকবে না। তিনি তার জনগণের ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করে দেশটি থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টিও সরাসরি উল্লেখ করেছেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার বদলে এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশটির ধরিত্রীবিজ্ঞানমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তার সঙ্গে বৈঠকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লিকে তার সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
দ্বীপ দেশটিতে ভারতের মাত্র ৭০জন সৈন্য রয়েছে। সেনারা ভারতীয় রাডার ও নজরদারি বিমান পরিচালনা করে। এই অঞ্চলে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ দেশটির একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে টহল দিতে সাহায্য করে। তার কার্যালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন।
ভারতীয় সেনাদের এই ছোট দলটি বেশ কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপে অবস্থান করছে। এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা যৌথ চ্যালেঞ্জ এবং অগ্রাধিকারের ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাচ্ছে। জনকল্যাণ, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগ ত্রাণ ও দ্বীপ দেশটিতে অবৈধ সামুদ্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে ভারতীয় সেনারা।
দিল্লির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ আয়তনের সমান দেশ মালদ্বীপে প্রায় ৫ লাখ লোকের বাস। পর্যটকদের কাছে দেশটি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত গুরুত্ব এবং এশিয়ার প্রধান দুই খেলোয়াড় ভারত ও চীনের মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনায় দ্বীপটি অন্যতম ভূ-রাজনৈতিক হটস্পট হয়ে উঠেছে।
নয়াদিল্লি ও বেইজিং উভয়ই দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে দ্বীপের উন্নয়নে উদারভাবে বিনিয়োগ করেছে। যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ভারত ও চীন দুদেশের সঙ্গেই একত্রে কাজ করতে চান। তিনি এটিও উল্লেখ করেছেন যে, ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়ানোর মতো আয়তন তাদের নেই, দেশটি খুবই ছোট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মুইজ্জু। ভারতপন্থী সলিহের আমলে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল মালের। পূর্বের তুলনায় সম্পর্ক আরও বেড়েছিল তখন। এদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন চীনের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছিলেন। তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মুইজ্জু।
চীনা সৈন্যদের সঙ্গে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে প্রতিস্থাপন করে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা করাই ছিল তার লাল রেখা। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি স্পষ্টতই ভারত ও চীনের সঙ্গে তার সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় মন্ত্রী রিজিজুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি মালদ্বীপে ভারত সমর্থন করছে এমন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
মালদ্বীপের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু ও মন্ত্রী কিরেন রিজিজু দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার নতুন প্রতিশ্রুতির দিয়ে বৈঠকটি শেষ করেছেন।’ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তার বদলে এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন দেশটির ধরিত্রীবিজ্ঞানমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তার সঙ্গে বৈঠকেই আনুষ্ঠানিকভাবে নয়াদিল্লিকে তার সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
দ্বীপ দেশটিতে ভারতের মাত্র ৭০জন সৈন্য রয়েছে। সেনারা ভারতীয় রাডার ও নজরদারি বিমান পরিচালনা করে। এই অঞ্চলে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ দেশটির একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে টহল দিতে সাহায্য করে। তার কার্যালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতি অনুসারে, রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু অসংখ্য জরুরি চিকিৎসা সেবায় দুটি ভারতীয় হেলিকপ্টারের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা স্বীকার করেছেন।
ভারতীয় সেনাদের এই ছোট দলটি বেশ কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপে অবস্থান করছে। এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সহযোগিতা যৌথ চ্যালেঞ্জ এবং অগ্রাধিকারের ওপর ভিত্তি করেই এগিয়ে যাচ্ছে। জনকল্যাণ, মানবিক সহায়তা, দুর্যোগ ত্রাণ ও দ্বীপ দেশটিতে অবৈধ সামুদ্রিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে ভারতীয় সেনারা।
দিল্লির প্রায় এক-পঞ্চমাংশ আয়তনের সমান দেশ মালদ্বীপে প্রায় ৫ লাখ লোকের বাস। পর্যটকদের কাছে দেশটি খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু ভারত মহাসাগর অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান কৌশলগত গুরুত্ব এবং এশিয়ার প্রধান দুই খেলোয়াড় ভারত ও চীনের মধ্যকার সীমান্ত উত্তেজনায় দ্বীপটি অন্যতম ভূ-রাজনৈতিক হটস্পট হয়ে উঠেছে।
নয়াদিল্লি ও বেইজিং উভয়ই দীর্ঘমেয়াদী ভূ-রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অংশ হিসেবে দ্বীপের উন্নয়নে উদারভাবে বিনিয়োগ করেছে। যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি জোর দিয়ে বলেছিলেন, তিনি ভারত ও চীন দুদেশের সঙ্গেই একত্রে কাজ করতে চান। তিনি এটিও উল্লেখ করেছেন যে, ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়ানোর মতো আয়তন তাদের নেই, দেশটি খুবই ছোট।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন মুইজ্জু। ভারতপন্থী সলিহের আমলে দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক বেশ ভাল ছিল মালের। পূর্বের তুলনায় সম্পর্ক আরও বেড়েছিল তখন। এদিকে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন চীনের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছিলেন। তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ মুইজ্জু।
চীনা সৈন্যদের সঙ্গে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে প্রতিস্থাপন করে আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষা করাই ছিল তার লাল রেখা। মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি স্পষ্টতই ভারত ও চীনের সঙ্গে তার সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করছেন। ভারতীয় মন্ত্রী রিজিজুর সঙ্গে বৈঠকে তিনি মালদ্বীপে ভারত সমর্থন করছে এমন প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়েও আলোচনা করেছেন।
মালদ্বীপের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি ডা. মুইজ্জু ও মন্ত্রী কিরেন রিজিজু দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার নতুন প্রতিশ্রুতির দিয়ে বৈঠকটি শেষ করেছেন।’ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক