আইপিইএফ’এ অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার তাদের শীর্ষ সম্মেলনের পরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক কাঠামো বা আইপিইএফ’এ অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের নেতৃবৃন্দ বৃহস্পতিবার তাদের শীর্ষ সম্মেলনের পরে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের সরবরাহ চেইনের বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করেছেন তারা।
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত'সহ মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই কাঠামোর ১৪টি সদস্য দেশের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় সান ফ্রানসিস্কোতে এপেক সম্মেলনের বাইরে আলাদা ভাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমাদের আরও কাজ বাকি এখনও, তবে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আইপিইএফ'এর তিনটি স্তম্ভের বিষয়ে রেকর্ড কম সময়ের মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছাতে পেরেছি আমরা।
আইপিইএফ'এর সদস্যরা মে মাসে সিদ্ধান্ত হওয়া সরবরাহ চেইনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং দূষণমুক্ত জ্বালানি ও ন্যায্য অর্থনীতি সংক্রান্ত স্তম্ভগুলোর বিষয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা শেষ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিযোগিতা-ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য লিথিয়াম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের সরবরাহ চেইনের বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক মে মাসে ভাবনা, পরের মে মাসে তার প্রকাশ। বহুল আলোচিত অর্থনৈতিক এই জোটের নাম ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক বা আইপিইএফ। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মে মাসে এ রকম একটি জোটের কথা প্রথম ভাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এক বছর পর গত ২৩ মে এই জোট আলোর মুখ দেখে।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি আঞ্চলিক শক্তি এ জোটের সদস্য। দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রুনেই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। এ দেশগুলোর সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি ১২টি দেশের ৭টিই আবার আসিয়ানভুক্ত দেশ। বলা হচ্ছে, আইপিইএফভুক্ত দেশগুলো বৈশ্বিক জিডিপির ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। চীন এ জোটের বাইরে রয়েছে। শুরুতে মিয়ানমারকেও এই জোটভুক্ত করার আলোচনা ছিল। কিন্তু সেনাশাসিত দেশটিকে শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয় রাজনৈতিক কারণে। লাওস, কম্বোডিয়াও এই জোটে যোগ দেয়নি। তাইওয়ান প্রথম দিকে আগ্রহ দেখালেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে—এ বিবেচনায় পরে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
বাংলাদেশকেও এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত ৮ জুন এক অনুষ্ঠানে এই জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ‘এসব জোট ছাড়াই আমরা ভালো আছি। আমরা উন্নয়নের পথে রয়েছি।’ তবে বাংলাদেশ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যেকোনো আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটে যোগ দেওয়ার আগে চিন্তা করবে, সেটা প্রকৃত অর্থনৈতিক জোট কি না। অর্থাৎ মোমেন বলতে চেয়েছেন, অর্থনৈতিক জোটের মোড়কে রাজনৈতিক জোট হলে বাংলাদেশ তাতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ভাববে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন একধরনের সংরক্ষণবাদ নীতি গ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, বেশি বেশি মুক্ত বাণিজ্য জোটে যোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বাড়ছে এবং নির্মাণ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রাম্প আমলের নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে বাইডেন নানা ধরনের উদ্যোগ নেন। আইপিইএফ জোট তার এ প্রচেষ্টারই অংশ। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও ভারত'সহ মার্কিন নেতৃত্বাধীন এই কাঠামোর ১৪টি সদস্য দেশের মধ্যে শীর্ষ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় সান ফ্রানসিস্কোতে এপেক সম্মেলনের বাইরে আলাদা ভাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমাদের আরও কাজ বাকি এখনও, তবে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। আইপিইএফ'এর তিনটি স্তম্ভের বিষয়ে রেকর্ড কম সময়ের মধ্যে মতৈক্যে পৌঁছাতে পেরেছি আমরা।
আইপিইএফ'এর সদস্যরা মে মাসে সিদ্ধান্ত হওয়া সরবরাহ চেইনকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন এবং দূষণমুক্ত জ্বালানি ও ন্যায্য অর্থনীতি সংক্রান্ত স্তম্ভগুলোর বিষয়ে পর্যাপ্ত আলোচনা শেষ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিযোগিতা-ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য লিথিয়াম ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থের সরবরাহ চেইনের বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এক মে মাসে ভাবনা, পরের মে মাসে তার প্রকাশ। বহুল আলোচিত অর্থনৈতিক এই জোটের নাম ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক বা আইপিইএফ। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের মে মাসে এ রকম একটি জোটের কথা প্রথম ভাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এক বছর পর গত ২৩ মে এই জোট আলোর মুখ দেখে।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি আঞ্চলিক শক্তি এ জোটের সদস্য। দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ব্রুনেই, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। এ দেশগুলোর সঙ্গে আছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকি ১২টি দেশের ৭টিই আবার আসিয়ানভুক্ত দেশ। বলা হচ্ছে, আইপিইএফভুক্ত দেশগুলো বৈশ্বিক জিডিপির ৪০ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব করে। চীন এ জোটের বাইরে রয়েছে। শুরুতে মিয়ানমারকেও এই জোটভুক্ত করার আলোচনা ছিল। কিন্তু সেনাশাসিত দেশটিকে শেষ পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয় রাজনৈতিক কারণে। লাওস, কম্বোডিয়াও এই জোটে যোগ দেয়নি। তাইওয়ান প্রথম দিকে আগ্রহ দেখালেও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে—এ বিবেচনায় পরে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেয়।
বাংলাদেশকেও এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং গত ৮ জুন এক অনুষ্ঠানে এই জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ‘এসব জোট ছাড়াই আমরা ভালো আছি। আমরা উন্নয়নের পথে রয়েছি।’ তবে বাংলাদেশ এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ যেকোনো আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোটে যোগ দেওয়ার আগে চিন্তা করবে, সেটা প্রকৃত অর্থনৈতিক জোট কি না। অর্থাৎ মোমেন বলতে চেয়েছেন, অর্থনৈতিক জোটের মোড়কে রাজনৈতিক জোট হলে বাংলাদেশ তাতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ভাববে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন একধরনের সংরক্ষণবাদ নীতি গ্রহণ করেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, বেশি বেশি মুক্ত বাণিজ্য জোটে যোগ দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বাড়ছে এবং নির্মাণ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ট্রাম্প আমলের নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে বাইডেন নানা ধরনের উদ্যোগ নেন। আইপিইএফ জোট তার এ প্রচেষ্টারই অংশ। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক