প্রতিনিধিদের কাছে ভারত এবং জাপানের মধ্যকার গভীর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বয়ান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ভারত-জাপান অংশীদারিত্ব ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি এই দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার গুরুত্বও তুলে ধরেছেন।
সোমবার (১৯ আগস্ট, ২০২৪) নতুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োকো কামিকাওয়া এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মিনোরু কিহারা। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারত ও জাপানের মধ্যে গভীরতর সম্পর্কের উপর জোর দেন।
মন্ত্রণালয় জানায়, “প্রধানমন্ত্রী ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এর বাইরেও শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে ভারত-জাপান অংশীদারিত্বের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাওয়া এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিহারা ৩য় ভারত-জাপান ২+২ পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য নতুন দিল্লিতে রয়েছেন, যেখানে তারা ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) বলেছেন, “জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামিকাও ইয়োকো এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিহারা মিনুরু -এর সঙ্গে ৩য় ভারত-জাপান ২+২ পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে সাক্ষাৎ করতে পেরে আনন্দিত। ভারত-জাপান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কের অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছি। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং এর বাইরেও শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে ভারত-জাপান অংশীদারিত্বের ভূমিকা পুনর্ব্যক্ত করেছি।”
মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী মোদী ক্রমবর্ধমান জটিল আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ২+২ বৈঠকের গুরুত্ব এবং ভারত ও জাপানের মধ্যে গভীরতর সম্পর্কের উপর জোর দেন। তিনি বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ, সেমিকন্ডাক্টর এবং প্রতিরক্ষা উত্পাদনের মতো ক্ষেত্রে ভারত ও জাপানের মতো বিশ্বস্ত বন্ধুদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তার মতামত এবং ধারণা শেয়ার করেন।
বৈঠকের সময়, তারা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন, যার মধ্যে মুম্বাই-আহমেদাবাদ উচ্চ গতির রেল প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে মত বিনিময় করেন, বলে মন্ত্রণালয় জানায়।
ভারত ও জাপান একটি 'বিশেষ কৌশলগত এবং বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব' ভাগাভাগি করে, যা এখন তার ১০ম বছরে পৌঁছেছে এবং গণতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের মতো অভিন্ন মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ReplyForward |