এই প্রথম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই রাজতান্ত্রিক ইসলামী দেশে কোনও দ্বিপাক্ষিক সফরে এলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী।
আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সুলতান হাজি হাসানাল বলকিয়া। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর), এক সরকারি সফরে ব্রুনেইয়ের রাজধানী, বন্দর সেরি বেগাওয়ানে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীকে সেই দেশে স্বাগত জানান, ব্রুনেইয়ের ক্রাউন প্রিন্স, হাজি আল-মুহতাদি বিল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য পদস্থ মন্ত্রীরা। ৪০ বছর আগে, ব্রুনেইয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল ভারত। অথচ, এই প্রথম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এই রাজতান্ত্রিক ইসলামী দেশে কোনও দ্বিপাক্ষিক সফরে এলেন কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। কাজেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফর এক ঐতিহাসিক সফর।
প্রদানমন্ত্রীর আগমনে সাড়া পড়ে গিয়েছে ব্রুনেইয়ের ভারতীয় সম্প্রদায়ের মধ্য়ে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যে হোটেলে থাকছেন, সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু অনাবাসী ভারতীয়। সঙ্গে ছিল তাদের সন্তানরাও। তাদের মধ্যে অনেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি এঁকে এনেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সেই হাতে আঁকা ছবিগুলিতে স্বাক্ষর করে দেন। ব্রুনেইয়ের ভারতীয়দের দেখা যায় ঢাক-ঢোল বাজিয়ে মোদীকে স্বাগত জানাতে। “মোদী, মোদী” স্লোগানও ওঠে।
বুধবার ব্রুনেইয়ে ভারতের ভারতীয় হাইকমিশনের একটি নতুন চ্যান্সারির উদ্বোধন করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। তারপর ব্রুনেইয়ের বর্তমান সুলতানের বাবার তৈরি একটি বিখ্যাত মসজিদ পরিদর্শন করবেন তিনি। ভারত-ব্রুনেই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে র পর, ব্রুনেইয়ের সুলতান, হাজি হাসানাল বলকিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি এবং ‘ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশনে’র এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার ব্রুনেই।
দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহ্যগত সংযোগ রয়েছে প্রায় হাজার বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমান সময়েও ভারত এবং ব্রুনেয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং বোঝাপড়া রয়েছে। ব্রুনেইয়ের পর সিঙ্গাপুরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সব মিলিয়ে দুই দেশে তিন দিনের সফর করবেন তিনি। সফরের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁর এই সফরে এই দুটি দেশ এবং বৃহত্তর আসিয়ান অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের অংশীদারিত্ব আরও মজবুত হবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক