এই গুরুদুয়ারাটি শিখদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক একবার সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

আফগানিস্তানে তালেবান কর্তৃক সংখ্যালঘু শিখ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র পতাকা অপসারণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের পূর্ব পাকতিয়া প্রদেশের চামকানী এলাকায় শিখ ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র পতাকা অপসারণ করে তালেবানরা। ঐতিহাসিক থালা সাহিব গুরুদুয়ারা থেকে নিশান সাহিব নামে পরিচিত ওই পতাকা সরিয়ে ফেলে তালেবান জঙ্গীরা।

প্রকাশিত খবরে আরও জানা যায় যে, থালা সাহিব গুরুদুয়ারার জিম্মাদারকে পতাকাটি অপসারণে জোর পূর্বক বাধ্য করেছিলো তালেবানরা। গণমাধ্যমে এ খবরটি চাওড় হওয়ার পরপরই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়।

ভারত এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমরা আফগানিস্তানের পাকতিয়া প্রদেশের চামকানীর গুরুদুয়ারা থেকে নিশান সাহিব নামে পরিচিত ওই পতাকা সরিয়ে ফেলার খবরটি পেয়েছি। আমরা এই জঘন্য কাজের তীব্র নিন্দা জানাই এবং আবারও আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছি যে, আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ অবশ্যই এমন হবে, যেখানে সংখ্যালঘু, নারী ও শিশু সহ সমাজের সকল শ্রেণীর স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে।”

উল্লেখ্য, এই গুরুদুয়ারাটি শিখদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা, শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক একবার সেখানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

আফগানিস্তানে শিখ ও হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও গত বছরের জুন মাসে সংখ্যালঘুদের নেতা নিদান সিং সচদেবাকে একই গুরুদ্বার থেকে অপহরণ করেছিল তালিবানরা। তাছাড়া, সাম্প্রতিককালে কাবুলের একটি মন্দিরে সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় ৩০ শিখ সংখ্যালঘু নাগরিক নিহত হন। সে হত্যাকাণ্ডের পেছনে হাক্কানি নেটওয়ার্ক এবং লস্কর-ই-তৈয়বার হাত রয়েছে বলে ধারণা করে ভারত।

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর থেকেই বেড়ে চলেছে সহিংসতা। তালেবানরা আফগানিস্তানের ভূমি দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে। অপরদিকে ভূখন্ড বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে আশরাফ গনির সরকার।