পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তানে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেদেশের সরকার এবং জনগণের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত

আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে মার্কিন বাহিনীর বিদায়ের পর থেকেই ক্ষমতার লড়াইয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত সরকারী বাহিনী এবং তালেবান। ক্রমাগত দেশটিতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা। অধিকাংশ ভূমিতে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সরকারী বাহিনী।



এমতাবস্থায় দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতের সহায়তা চেয়েছে আফগান সরকার। তবে জানা গিয়েছে, এখনই ভারতে সামরিক পদক্ষেপ নিতে ইচ্ছুক নয় নয়াদিল্লী। তবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেদেশের সরকার এবং জনগণের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত।



গত বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “২০১১ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুসারে ভারত এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পরিচালিত হচ্ছে। একটি সৎ প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে ভারত সবসময়ই আফগানিস্তানকে গণতান্ত্রিক এবং সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চায়। সেখানকার সাধারণ জনগণ, নারী ও শিশু সহ সার্বিকভাবে সকলের অধিকার রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”



তবে আফগানিস্তানে ক্ষমতার রাজনীতিতে প্রায় দু দশক ধরে চলা অচলাবস্থার মধ্যে নিজেদের সৈন্য প্রেরণের কোনো পরিকল্পনা ভারতের নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি। ইতোপূর্বে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধানও আফগানিস্তানে সৈন্য পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছিলেন।



জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষদিকে আফগান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াল মোহাম্মদ আহমেদজাই তিনদিনের সফরে ভারতে আগমণ করবেন। সেখানে সৈন্য পাঠানোর বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।



প্রসঙ্গত, ভারত বর্তমানে আফগান সামরিক ক্যাডেটদের নানা রকম প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। ইতোমধ্যে, প্রচুর আফগান অফিসারকে ভারতের অফিসার ট্রেনিং মিলিটারি ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।