বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, এটা অবশ্যই বোঝা উচিত যে রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আছে ভারতের।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফর নিয়ে যে সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন আধিকারিকরা, তার পালটা দিল নয়াদিল্লি। বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক বিবৃতিতে একেবারে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, কোন দেশ কাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখবে, সেটা একেবারেই সংশ্লিষ্ট দেশের বিষয়। সেটা ওই দেশের স্বাধীনতা। আর ভারতেরও সেই স্বাধীনতা আছে বলে বার্তা দিয়েছে দিল্লি।
মোদীর রাশিয়া সফর নিয়ে একাধিক মার্কিন আধিকারিক উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় যোগ দিয়ে মোদীর রাশিয়া সফরের সময় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি (দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়া) ডোনাল্ড লু। তাঁর বক্তব্য ছিল যে ওয়াশিংটনে যখন ন্যাটোর সম্মেলন করছেন, তখন রাশিয়ায় গিয়েছেন মোদী।
সেই বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশ্ন করা হলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, এটা অবশ্যই বোঝা উচিত যে রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক আছে ভারতের। যে সম্পর্ক দু'জনের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। বহুমুখী বিশ্বে প্রতিটি দেশেরই ‘পছন্দের স্বাধীনতা’ আছে। সকলেরই সেই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত এবং সেই বাস্তবটা মেনে নেওয়া উচিত বলে জানান ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও জানান যে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্কের সঙ্গে একাধিক বিষয় জড়িয়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন মস্কোয় গিয়েছিলেন, তখন অর্থনীতির বিষয়ও যুক্ত ছিল বলে জানিয়েছেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র। যে সফরের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মোদী বলেছিলেন যে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সমাধানসূত্র বের করা যাবে না। বন্দুকের ছায়ায় সাফল্য লাভ করবে না শান্তি বৈঠকও।
এমনিতে মস্কোয় মোদী এবং পুতিনের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের অঙ্কটা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছুঁয়ে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন মোদী এবং পুতিন। রাশিয়া থেকে যাতে বাধাহীনভাবে অপরিশোধিত তেল, সার, কুদানকুলাম প্ল্যান্টের জন্য পরমাণু তেল পাওয়া যায়, তা নিশ্চিত করার উপরেও জোর দিয়েছিল দিল্লি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক