নিজ সফরে গায়ানা এবং ভারতের মধ্যকার সুদীর্ঘ সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের মেলবন্ধন তুলে ধরেন মোদী।
ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে মাতৃভূমির সংযোগ আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার গায়ানার ভারতীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের মহাকুম্ভ এবং প্রবাসী ভারতীয় দিবসে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, “পরবর্তী বছর ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে। আমি আপনাদের পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনি বাসতি বা গোঁডা যেতে পারেন, যেখান থেকে আপনার পূর্বপুরুষরা এসেছিলেন। পাশাপাশি, অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরও দর্শন করতে পারেন। এছাড়াও আরেকটি আমন্ত্রণ আছে,” প্রধানমন্ত্রী মোদী গায়ানার জর্জটাউনে ন্যাশনাল সেন্টারে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বক্তব্য প্রদানকালে এসব বলেন।
গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী, প্রধানমন্ত্রী মার্ক ফিলিপসসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রবাসীদের ‘রাষ্ট্রদূত’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমি সবসময় আমাদের প্রবাসীদের রাষ্ট্রদূত বলি। একজন রাষ্ট্রদূত হলেন রাজদূত, কিন্তু আমার কাছে আপনারা সবাই রাষ্ট্রদূত। আপনারা ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দূত। বলা হয়, মায়ের কোলে যে শান্তি মেলে, তার সমতুল্য আর কিছু নেই।”
ভারত ও গায়ানার মধ্যকার মিল সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন, সংস্কৃতি, খাবার এবং ক্রিকেট এই তিনটি বিষয় দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধনের ভিত্তি। তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগে আপনারা নিশ্চয়ই দীপাবলি উদযাপন করেছেন। আর কয়েক মাস পরে যখন ভারত হোলি উদযাপন করবে, তখন গায়ানায় ফাগওয়া পালিত হবে।” ২০০০ সালের বেশি আগে সাধারণ ভ্রমণকারী হিসেবে গায়ানায় আসার কথাও তিনি স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, “সেই সময়ে আমার কোনো সরকারি দায়িত্ব ছিল না। আমি একজন ভ্রমণকারী হিসেবে গায়ানায় এসেছিলাম। এখন আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই বহু নদীর দেশটিতে ফিরেছি। এ সময়ের মধ্যে অনেক কিছু বদলেছে। কিন্তু আমার গায়ানিজ ভাই-বোনদের ভালোবাসা ও স্নেহ একই রয়ে গেছে! আমার অভিজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে—আপনি একজন ভারতীয়কে ভারত থেকে বের করতে পারেন, কিন্তু ভারতকে একজন ভারতীয়ের মন থেকে বের করা সম্ভব নয়।”
১৮৩৮ সালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রথম জাহাজে গায়ানায় আগমনের স্মরণে নির্মিত ‘ইন্ডিয়া অ্যারাইভাল মনুমেন্ট’ পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এটি প্রায় দুই শতাব্দী আগে আপনার পূর্বপুরুষদের দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রার চিত্র তুলে ধরে। তারা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছিলেন। তারা বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য নিয়ে এসেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা এই নতুন দেশটিকে নিজেদের আবাস বানিয়েছেন। আজ এই ভাষা, গল্প ও ঐতিহ্য গায়ানার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অংশ।”
এই অনুষ্ঠানে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, যা ভারত ও গায়ানায় অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। তিনি বলেন, “ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আমাদের জাতিগুলোর মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলে। এটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের গভীরে মিশে আছে। গায়ানার প্রভিডেন্স ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমাদের বন্ধুত্বের প্রতীক।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কানহাই, কালিচরণ, চান্দ্রপল—এই নামগুলো ভারতে খুবই পরিচিত। ক্লাইভ লয়েড ও তার দল বহু প্রজন্মের প্রিয় ছিল। এই অঞ্চলের তরুণ খেলোয়াড়দেরও ভারতে বিশাল ফ্যানবেস রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মহান ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। এই বছর আপনারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছেন, যা অনেক ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে উপভোগ্য ছিল।”
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে ভারতের গত দশকের অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “গত দশকে ভারতের যাত্রা ছিল ব্যাপক, দ্রুত এবং টেকসই। মাত্র ১০ বছরে ভারত দশম বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। শীঘ্রই আমরা তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠব। আমাদের তরুণরা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে। ভারত ই-কমার্স, এআই, ফিনটেক, কৃষি, প্রযুক্তি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মঙ্গল ও চাঁদে পৌঁছেছি। হাইওয়ে থেকে আইওয়ে, এয়ারওয়ে থেকে রেলওয়ে—আমরা আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছি। আমাদের একটি শক্তিশালী সেবা খাত রয়েছে। এখন আমরা উৎপাদন ক্ষেত্রেও শক্তিশালী হয়ে উঠছি। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে।” সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
তিনি বলেন, “পরবর্তী বছর ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ অনুষ্ঠিত হবে। আমি আপনাদের পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনি বাসতি বা গোঁডা যেতে পারেন, যেখান থেকে আপনার পূর্বপুরুষরা এসেছিলেন। পাশাপাশি, অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দিরও দর্শন করতে পারেন। এছাড়াও আরেকটি আমন্ত্রণ আছে,” প্রধানমন্ত্রী মোদী গায়ানার জর্জটাউনে ন্যাশনাল সেন্টারে ভারতীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে বক্তব্য প্রদানকালে এসব বলেন।
গায়ানার প্রেসিডেন্ট ইরফান আলী, প্রধানমন্ত্রী মার্ক ফিলিপসসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রবাসীদের ‘রাষ্ট্রদূত’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “আমি সবসময় আমাদের প্রবাসীদের রাষ্ট্রদূত বলি। একজন রাষ্ট্রদূত হলেন রাজদূত, কিন্তু আমার কাছে আপনারা সবাই রাষ্ট্রদূত। আপনারা ভারতীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দূত। বলা হয়, মায়ের কোলে যে শান্তি মেলে, তার সমতুল্য আর কিছু নেই।”
ভারত ও গায়ানার মধ্যকার মিল সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন, সংস্কৃতি, খাবার এবং ক্রিকেট এই তিনটি বিষয় দুই দেশের মধ্যে গভীর বন্ধনের ভিত্তি। তিনি বলেন, “কয়েক সপ্তাহ আগে আপনারা নিশ্চয়ই দীপাবলি উদযাপন করেছেন। আর কয়েক মাস পরে যখন ভারত হোলি উদযাপন করবে, তখন গায়ানায় ফাগওয়া পালিত হবে।” ২০০০ সালের বেশি আগে সাধারণ ভ্রমণকারী হিসেবে গায়ানায় আসার কথাও তিনি স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, “সেই সময়ে আমার কোনো সরকারি দায়িত্ব ছিল না। আমি একজন ভ্রমণকারী হিসেবে গায়ানায় এসেছিলাম। এখন আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই বহু নদীর দেশটিতে ফিরেছি। এ সময়ের মধ্যে অনেক কিছু বদলেছে। কিন্তু আমার গায়ানিজ ভাই-বোনদের ভালোবাসা ও স্নেহ একই রয়ে গেছে! আমার অভিজ্ঞতা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে—আপনি একজন ভারতীয়কে ভারত থেকে বের করতে পারেন, কিন্তু ভারতকে একজন ভারতীয়ের মন থেকে বের করা সম্ভব নয়।”
১৮৩৮ সালে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের প্রথম জাহাজে গায়ানায় আগমনের স্মরণে নির্মিত ‘ইন্ডিয়া অ্যারাইভাল মনুমেন্ট’ পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, “এটি প্রায় দুই শতাব্দী আগে আপনার পূর্বপুরুষদের দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রার চিত্র তুলে ধরে। তারা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসেছিলেন। তারা বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য নিয়ে এসেছিলেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা এই নতুন দেশটিকে নিজেদের আবাস বানিয়েছেন। আজ এই ভাষা, গল্প ও ঐতিহ্য গায়ানার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অংশ।”
এই অনুষ্ঠানে ক্রিকেট নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, যা ভারত ও গায়ানায় অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা। তিনি বলেন, “ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা আমাদের জাতিগুলোর মধ্যে দৃঢ় বন্ধন গড়ে তোলে। এটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের গভীরে মিশে আছে। গায়ানার প্রভিডেন্স ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম আমাদের বন্ধুত্বের প্রতীক।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কানহাই, কালিচরণ, চান্দ্রপল—এই নামগুলো ভারতে খুবই পরিচিত। ক্লাইভ লয়েড ও তার দল বহু প্রজন্মের প্রিয় ছিল। এই অঞ্চলের তরুণ খেলোয়াড়দেরও ভারতে বিশাল ফ্যানবেস রয়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মহান ক্রিকেটার আমাদের সঙ্গেই রয়েছেন। এই বছর আপনারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করেছেন, যা অনেক ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীর কাছে উপভোগ্য ছিল।”
প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে ভারতের গত দশকের অগ্রগতির কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “গত দশকে ভারতের যাত্রা ছিল ব্যাপক, দ্রুত এবং টেকসই। মাত্র ১০ বছরে ভারত দশম বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। শীঘ্রই আমরা তৃতীয় বৃহত্তম হয়ে উঠব। আমাদের তরুণরা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলেছে। ভারত ই-কমার্স, এআই, ফিনটেক, কৃষি, প্রযুক্তি এবং আরও অনেক ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মঙ্গল ও চাঁদে পৌঁছেছি। হাইওয়ে থেকে আইওয়ে, এয়ারওয়ে থেকে রেলওয়ে—আমরা আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ করছি। আমাদের একটি শক্তিশালী সেবা খাত রয়েছে। এখন আমরা উৎপাদন ক্ষেত্রেও শক্তিশালী হয়ে উঠছি। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল প্রস্তুতকারক হয়ে উঠেছে।” সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক