ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর পাঁচ দিনের নেপাল সফরে কৌশলগত প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ২০ থেকে ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে নেপালে পাঁচ দিনের সফল সরকারি সফর শেষে ভারতে ফিরে এসেছেন। এই সফর ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিনের বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গভীরতর করেছে।
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
নেপালের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মানবীর রাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নেপালি সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সামর্থ্য উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
সফরের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তসমূহ
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি: টুন্ডিখেলের বীর স্মারকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেনারেল দ্বিবেদী। নেপালি সেনা সদর দফতরে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
সম্মানসূচক পদ প্রদান: নেপালের রাষ্ট্রপতি শীতল নিবাসে জেনারেল দ্বিবেদীকে নেপালি সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক জেনারেল পদে ভূষিত করেন। ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর বিশেষ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আলোচনা: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী উপহার হিসেবে নেপালি সেনাবাহিনীকে ভ্যালার মাউন্ট ঘোড়া এবং প্রহরী কুকুর প্রদান করে, যা বন্ধুত্বের প্রতীক।
শিবপুরী স্টাফ কলেজে বক্তব্য: নেপাল আর্মি কমান্ড ও স্টাফ কলেজে “যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র” বিষয়ে বক্তব্য দেন জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি উভয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক শিক্ষা ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রাক্তন সেনা সদস্য ও পরিবারের প্রতি প্রতিশ্রুতি
পোখারায় আয়োজিত এক্স-সার্ভিসম্যান র্যালিতে অংশ নিয়ে জেনারেল দ্বিবেদী গুর্খা ভেটারান এবং বীর নারীদের (শহীদ সেনাদের বিধবা) সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাগুলোর মধ্যে ছিল:
বুটালা এবং ডুঙ্গাধিতে দুটি নতুন ইসিএইচএস পলিক্লিনিক স্থাপন। এক্স-সার্ভিসম্যান কন্ট্রিবিউটরি হেলথ স্কিম (ইসিএইচএস)-এর আওতায় তালিকাভুক্ত হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি। তিনি সাবেক ইউনিটের সুবেদার মেজর এবং অনারারি ক্যাপ্টেন গোপাল বাহাদুর থাপার (অবসরপ্রাপ্ত) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদার
ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়, যা পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বকে আরও গভীর করবে। সফরের শেষ দিন, জেনারেল দ্বিবেদী নেপালি সেনাপ্রধান জেনারেল সিগদেলকে ভারতে আনুষ্ঠানিক সফরের আমন্ত্রণ জানান। এই আমন্ত্রণ উভয় সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন সহযোগিতার পথ উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জেনারেল দ্বিবেদীর এই সফর ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর শান্তি, নিরাপত্তা এবং অংশীদারিত্বের প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতীক। প্রতিরক্ষা কৌশল, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ভেটারান কল্যাণ কার্যক্রম একত্রিত করে এই সফর উভয় দেশের জন্য নতুন সহযোগিতার যুগের সূচনা করেছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তিতে উভয় দেশ আরও একসঙ্গে কাজ করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতা
নেপালের শীর্ষ রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি রাষ্ট্রপতি রাম চন্দ্র পৌডেল, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মানবীর রাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। নেপালি সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগদেল এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সামর্থ্য উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
সফরের উল্লেখযোগ্য মুহূর্তসমূহ
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি: টুন্ডিখেলের বীর স্মারকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেনারেল দ্বিবেদী। নেপালি সেনা সদর দফতরে তাঁকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়।
সম্মানসূচক পদ প্রদান: নেপালের রাষ্ট্রপতি শীতল নিবাসে জেনারেল দ্বিবেদীকে নেপালি সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক জেনারেল পদে ভূষিত করেন। ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর বিশেষ সম্পর্কের প্রতীক হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে আলোচনা: প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়ার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী উপহার হিসেবে নেপালি সেনাবাহিনীকে ভ্যালার মাউন্ট ঘোড়া এবং প্রহরী কুকুর প্রদান করে, যা বন্ধুত্বের প্রতীক।
শিবপুরী স্টাফ কলেজে বক্তব্য: নেপাল আর্মি কমান্ড ও স্টাফ কলেজে “যুদ্ধের পরিবর্তিত চরিত্র” বিষয়ে বক্তব্য দেন জেনারেল দ্বিবেদী। তিনি উভয় সেনাবাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য পারস্পরিক শিক্ষা ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
প্রাক্তন সেনা সদস্য ও পরিবারের প্রতি প্রতিশ্রুতি
পোখারায় আয়োজিত এক্স-সার্ভিসম্যান র্যালিতে অংশ নিয়ে জেনারেল দ্বিবেদী গুর্খা ভেটারান এবং বীর নারীদের (শহীদ সেনাদের বিধবা) সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাগুলোর মধ্যে ছিল:
বুটালা এবং ডুঙ্গাধিতে দুটি নতুন ইসিএইচএস পলিক্লিনিক স্থাপন। এক্স-সার্ভিসম্যান কন্ট্রিবিউটরি হেলথ স্কিম (ইসিএইচএস)-এর আওতায় তালিকাভুক্ত হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধি। তিনি সাবেক ইউনিটের সুবেদার মেজর এবং অনারারি ক্যাপ্টেন গোপাল বাহাদুর থাপার (অবসরপ্রাপ্ত) সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাংস্কৃতিক বন্ধন জোরদার
ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়, যা পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং বন্ধুত্বকে আরও গভীর করবে। সফরের শেষ দিন, জেনারেল দ্বিবেদী নেপালি সেনাপ্রধান জেনারেল সিগদেলকে ভারতে আনুষ্ঠানিক সফরের আমন্ত্রণ জানান। এই আমন্ত্রণ উভয় সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন সহযোগিতার পথ উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জেনারেল দ্বিবেদীর এই সফর ভারত ও নেপালের সেনাবাহিনীর শান্তি, নিরাপত্তা এবং অংশীদারিত্বের প্রতি অভিন্ন প্রতিশ্রুতির প্রতীক। প্রতিরক্ষা কৌশল, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ভেটারান কল্যাণ কার্যক্রম একত্রিত করে এই সফর উভয় দেশের জন্য নতুন সহযোগিতার যুগের সূচনা করেছে। আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তিতে উভয় দেশ আরও একসঙ্গে কাজ করবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক